পরিবেশ মন্ত্রী রত্না দে নাগের সাথে দেখা করলেন বিদ্যালয়ের আংশিক সময়ের শিক্ষক সংগঠন

পরিবেশ মন্ত্রী  রত্না দে নাগের সাথে দেখা করলেন বিদ্যালয়ের আংশিক সময়ের শিক্ষক সংগঠন 

শিক্ষক


অতি মারি করোনার প্রভাবে টানা 1 বছর 4 মাস ধরে স্বাভাবিক জনজীবন বিপর্যস্ত হয়েছে। বাদ যায়নি সমাজের কোন ক্ষেত্র।বন্ধ রয়েছে রাজ্যের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলি। আর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলি বন্ধ থাকায় অসুবিধার সম্মুখীন হয়েছেন রাজ্যের প্রায় 10,000 বিদ্যালয়ের আংশিক সময়ের শিক্ষক-শিক্ষিকা। 


সাধারণত বিদ্যালয়ে পর্যাপ্ত পরিমাণে শিক্ষক-শিক্ষিকার অভাবে বিদ্যালয়গুলিতে আংশিক সময়ের শিক্ষকদের নিয়োগ করা হয়ে থাকে। এই নিয়োগ করে থাকেন বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি এবং বিদ্যালয় ফান্ড থেকে তাদের অতি সামান্য বেতন দেওয়া হয়। খবর নিয়ে জানা গেছে উনাদের বেতন বিভিন্ন বিদ্যালয়ে দেওয়া হয় মাসে এক হাজার টাকা থেকে সর্বোচ্চ তিন হাজার টাকা পর্যন্ত।


এই অতি মারি করার সময় বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় অনেক বিদ্যালয় তাদের এই বেতন টুকু দেওয়াও বন্ধ করে দিয়েছে। আবার অতি মারি করোনার কারণে তাদের গৃহশিক্ষকতা বন্ধ রাখতে তারা বাধ্য হয়েছেন। এইরূপ অবস্থায় তাদের পক্ষে সংসার চালানো দুঃসাধ্য হয়ে পড়েছে। বিদ্যালয় আংশিক সময়ের শিক্ষক সংগঠন পার্ট টাইম টিচার্স ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে 2019 সালের মার্চ মাস থেকে তাদের স্থায়ীকরণের জন্য বিকাশ ভবন, নবান্ন, শিক্ষা মন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী বিভিন্ন জেলায় ডি এম ,ডি আই সকলের কাছে দরবার করা হয়েছে। 

কিন্তু আজ পর্যন্ত তাদের সমস্যার কোনো সমাধান হয়নি। এবার বিদ্যালয়ের আংশিক শিক্ষকরা বিভিন্ন জেলায় বিধায়ক এবং মন্ত্রীদের দ্বারস্থ হয়েছেন। 


আজ হুগলি জেলায় পরিবেশ মন্ত্রী মাননীয়া রত্না দে নাগের সাথে সংগঠনের হুগলি জেলা সভাপতি নিশিথ দে এর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল সাক্ষাৎ করে উনাকে উনার হাতে তাদের দাবি সহ স্মারকলিপি তুলে দেন। 

মাননীয়া মন্ত্রী বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সমস্যার কথা মন দিয়ে শোনেন এবং এ বিষয়ে দ্রুত সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন। তিনি বলেন এ বিষয়টি নিয়ে তিনি শিক্ষা মন্ত্রী এবং মুখ্যমন্ত্রীর সাথে আলোচনা করবেন এবং যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। 


সংগঠনের রাজ্য সভাপতি সমীর কুমার দেওঘরিয়া জানান এ বিষয়ে সরকার যদি আগামী শিক্ষক দিবসের পূর্বে কোন সদর্থক ভূমিকা গ্রহণ না করেন বা আংশিক শিক্ষকদের স্থায়ীকরণ না করেন তাহলে শিক্ষক দিবসের পর কলকাতার রাজপথে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।

0/Post a Comment/Comments